এম অহিদুজ্জামান ডিউক, প্রতিনিধি বাউফল :
নদীভাঙ্গন করোনার প্রার্দুভাব এবং ঘুর্ণিঝড়ের তান্ডবে বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে
পটুয়াখালী বাউফল উপজেলার ধুলিয়া ইউনিয়ন। আর এ দুর্যোগে পরে মাথাগোঁজার
ঠাঁইটুকু হারিয়েছে অর্ধশত শ্রমজীবি পরিবার। গত দুদিনে বয়ে যাওয়া
ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে এখন তারা সর্বশান্ত । এদিকে মহামারি করোনা ভাইরাসের
কারনেও আয়ের পথ বন্ধ হওয়ায় পরিবারগুলো মানবেতর জীবন যাপন করছে।
জানাগেছে, উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরে প্রমত্তা তেঁতুলিয়ার পাড়ে
এ ইউনিয়নটি অবস্থিত। এ ইউনিয়নের বেশির ভাগ মানুষ মৎস্য ও কৃষির উপর নির্ভরশীল।
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ধূলিয়া ইউনিয়নের ৫টি গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়ে
গেছে। সহায় সম্বল হারিয়ে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ অসহায়ভাবে জীবন যাপন করছে। গত
এক সপ্তাহে প্রায় অর্ধ কিলোমিটার এলাকার ঘর বাড়ি ও ফসলি জমি তেঁতুলিয়ার
জোঁয়ারের তোরে বিলীণ হয়ে গেছে। অনেক পরিবার সহায় সম্বল হারিয়ে ধুলিয়া বাজার
সড়কের পাশে টিন ও পলিব্যাগের ছাউনি দিয়ে মানবতের জীবন যাপন করে আসছে। এরই
মধ্যে গত দুদিনে ইউনিয়নটির উপরে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডবে প্রায় অর্ধশত ঘর
বাড়ি তাসের ঘরের মতো উড়িয়ে অন্য স্থানে ফেলে দেয়, বড় বড় গাছপালা ভেঙ্গে পরে তাদের
বসত ঘরের উপর। শফিক খান, কাশেম খান, মিন্টু দেয়ান, বশির হাওলাদার, চারু মোল্লা,
পান্নু গাজি, ছোবাহান, হালিম মাল, খলিল হাওলাদার, রশিদ ও জহির হোসেনের পরিবার
ঘর-বাড়ি ও ফসলি জমি হারিয়ে এখন দিশেহারা হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। জেলে
রশিদ জানায়, নদীতে তার সব নিয়ে গেছে, রাস্তার পাশে দুবান টিন দিয়ে চারজনের
পরিবার নিয়ে বসবাস করি। কিন্তু আল্লা তাও নিয়ে গেছে, কোথায় থাকমু বউ ছেলে
মেয়ে নিয়ে? খলিল হাওলাদার ও মিজান জানায়, একদিকে নদী,আরেকদিকে করোনায় জীবন
এ্যাহন শেষ, হ্যার মধ্যে আবার ঝড়ে নিয়ে গেল থাকার ঘর, কি করবো, কেমন করে বাঁচবো
ছেলে মেয়ে বউ নিয়ে? ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রব হাওলাদার বলেন, নদী ভাঙ্গন, করোনা,
ঘূর্ণিঝড় এ ত্রিদশায় ইউনিয়নের করুণ হাল। তবে ঘর ভাঙ্গার তালিকা ইতিমধ্যে দেয়া
হয়েছে উপজেলা প্রশাসনকে।
Comments (0)
Facebook Comments (0)